Header Ads

West bengal waqf act protests

 

পশ্চিমবঙ্গ ওয়াকফ আইন সংশোধন নিয়ে বিক্ষোভ: জনমতের প্রবল জোয়ার

আপডেট: ১২ এপ্রিল, ২০২৫

ভূমিকা

পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক ওয়াকফ আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ধর্মীয় সংস্থা, আইনজীবী, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ এই সংশোধনকে ধর্মীয় অধিকার ও সংবিধানিক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।


ওয়াকফ আইন কী?

ওয়াকফ আইন মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও দানশীল উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সম্পত্তির পরিচালনার জন্য ১৯৯৫ সালে চালু হয়। রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ড এই সম্পত্তির দেখভাল করে।


সংশোধনের মূল বিষয়বস্তু

২০২৫ সালের মার্চে রাজ্য সরকার ওয়াকফ আইনে যে পরিবর্তনগুলি এনেছে তা হল:

  • সরকারের অধীনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

  • নিরীক্ষার নতুন নিয়ম

  • রাজ্যনিযুক্ত অফিসারের মাধ্যমে বোর্ড পরিচালনা

  • বোর্ড চেয়ারম্যানের ক্ষমতা হ্রাস


কেন এই সংশোধন নিয়ে বিতর্ক?

  • ধর্মীয় নেতারা বলছেন, এটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনের বিরুদ্ধে।

  • আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সংবিধানের ধারা ২৬ লঙ্ঘন করে।

  • ওয়াকফ বোর্ড বলছে, তাদের সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই সংশোধন আনা হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিক্ষোভ

কলকাতা, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।

প্রধান দাবিগুলি:

১. সংশোধিত বিল বাতিল
২. ওয়াকফ বোর্ডের পূর্ণ স্বাধীনতা
৩. ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ গ্রহণ
৪. নতুন ধারাগুলোর বিচারিক পর্যালোচনা

“সরকার স্বচ্ছতার অজুহাতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না,” – মাওলানা আসাদ কোরেশি, কলকাতা

“আমাদের বিশ্বাস এবং অধিকার রক্ষা চাই,” – শবনম পারভিন, মুর্শিদাবাদ


রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

সরকারি মতামত:

রাজ্য সরকার বলেছে, এই সংশোধনের উদ্দেশ্য দুর্নীতি দমন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।

“অবৈধ মালিকানা হস্তান্তরের অভিযোগ এসেছে বহুবার,” – রফিক আলম, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী

বিরোধী প্রতিক্রিয়া:

বিজেপি, কংগ্রেস ও আইএসএফ এই পদক্ষেপকে “সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ” বলে আখ্যা দিয়েছে।

“এই বিল মুসলিম ভোট ব্যাংক নিয়ন্ত্রণের কৌশল,” – দিলীপ ঘোষ, বিজেপি


আইনি দিক

কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পিআইএল দায়ের হয়েছে।

প্রধান যুক্তি:

  • ধারা ২৬ এর লঙ্ঘন

  • সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা না করা

  • নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতার অপব্যবহার


মুসলিম সমাজে প্রভাব

বিভিন্ন মত ও উপমতের মুসলিম সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি একটি বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।


গণমাধ্যম ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া

টিভি, সংবাদপত্র ও অনলাইন মাধ্যমে বিষয়টি শিরোনাম হয়েছে। #SaveWaqf, #WaqfProtestsWB ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ।

মানুষের মত দ্বিধাবিভক্ত—কেউ কেউ স্বচ্ছতা চায়, আবার কেউ ধর্মীয় অধিকার রক্ষার পক্ষে।


ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

  • নবান্ন অভিযান

  • রাজ্যজুড়ে বন্‌ধ

  • ধর্মনিরপেক্ষ সমর্থন মিছিল

এই আন্দোলনের ভবিষ্যত রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।


Conclusion

The West Bengal Waqf Act protests reflect a broader struggle between governance and religious freedom. As the legal and political debates unfold, it is crucial for the state to ensure dialogue, transparency, and constitutional respect to maintain social harmony and secularism.

No comments

Powered by Blogger.