Header Ads

জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরুষরা নারীর বেশে

 

জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরুষরা নারীর বেশে

 
 হুগলীর চন্দননগর-ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলার জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরুষরা নারীর বেশে বরণ করেন প্রতিমাকে। এই জগদ্ধাত্রী পুজোর এটাই ঐতিহ্য। ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলার গৌড়হাটিতে এ বছর ২২৯তম বছর হল এই পুজোর। পুরুষরা মহিলা সেজে বরণ করার রীতি বিগত ২২৯ বছর ধরেই চলে আসছে।  দেবীর স্বপ্নাদেশে এই রীতি চালু হয়েছিল যা বর্তমানে ও সমান ভাবে পালিত হয়ে চলেছে।

এই পুজোয় ছেলেরা রীতিমত মেয়েদের মতো শাড়ি পরে, হাতে বরণের থালা ধরে সিঁথিতে সিঁদুর লেপে মা জগদ্ধাত্রীকে বরণ করেন। বিজোড় সংখ্যায় থাকেন পুরুষরা। রীতি মেনে সাতবার প্রতিমাকে প্রদক্ষিণ করা হয়। বরণ পর্বে তাঁরা শঙ্খ বাজান, উলুধ্বনিও দেন। সিঁড়ি বেয়ে উঠে দেবীর কাছে পৌঁছে যান তাঁরা। মুখে সন্দেশ গুঁজে দেন। একে একে সকলে বরণ করেন জগদ্ধাত্রীকে।  

 

 কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারাম সুর এই পুজোর সূচনা করেন কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোর এক বছর পরেই। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান দাতারাম সুরের মেয়ের বাড়ি ছিল গৌরহাটিতে।  শ্রীরামপুরের জমিদার গোস্বামীরা পুজোর জন্য জমি দেন ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা গঙ্গার ঘাটে। সেই থেকে শুরু হয় পুজো, চলছে আজ অবধি। নিজস্ব মন্দিরও আছে, পুজোও হয় রীতিমতো নিষ্ঠা ও আড়ম্বরের সাথে।  অপূর্ব শোভা মায়ের রূপে, দেহ সুদীর্ঘ, গায়ের রং প্রভাত সূর্যের মতো উজ্জ্বল। ১০০ টি বেনারসি লাগে মায়ের বস্ত্র তৈরি করতে‌। ভদ্রেশ্বর তেঁতুলতলার এই জগদ্ধাত্রী পূজায় জগদ্ধাত্রী প্রতিমার হাতি থাকেনা এবং প্রতিমার সঙ্গেই জয়া ও বিজয়া থাকে।  .  জয় মা   .    (সংগৃহীত)


No comments

Powered by Blogger.