Header Ads

COLOUR VISION TEST POLICE

 Colour vision test এটা হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। প্রথমত আপনাকে জানতে হবে যে কালার ভিশন টেস্ট কি?  

তো এর উত্তরে আমি আপনাকে বলবো যে কালার ভিশন টেস্ট হলো   কতগুলি বিন্দুর মধ্যে এমন একটা সংখ্যা লেখা থাকবে সেই সংখ্যাটা যদি তুমি দেখতে পাও তাহলে তোমার কালার বাইন্ড নেই। 

 

 

আর যদি তুমি সেই বিন্দু গুলোর মধ্যে ওই সংখ্যাটিকে না দেখতে পাও তাহলে তোমার কালার বাইন্ড রয়েছে। 

 

বন্ধুরা আমার নাম সুরজিৎ মন্ডল আমি এসএসসি জিডি 2018 মেডিকেল ফিট ক্যান্ডিডেট । 

বন্ধুরা আমরা 2018 সালে এসএসসি জিডি ফরম ফিলাপ করেছিলাম এবং পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং পরীক্ষা পাশ করবার পরে আমাদেরকে  মাঠে ডাকা হয়েছিল দৌড় আবার জন্য এবং হাইট ওয়েট এগুলি পরিমাপ করার জন্য। 

তো আমি এই সমস্ত প্রসেস গুলি পাশ করেছিলাম। এবং তার পরেই আমার মেডিকেলের জন্য এডমিট কার্ড অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে হয়েছিল । 

সেই এডমিট একটি ডেট দেওয়া হয়েছিল এবং যে জায়গায় আমার মেডিকেল হবে সেই জায়গার ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। 

তো বন্ধুরা আমার মেডিকেল হয়েছিল আইটিবিপি ক্যাম্প উত্তরপ্রদেশের। 

আইটিপি ক্যাম্পে যখন আমরা প্রবেশ করেছিলাম তখন আমাদের সাথে এডমিট কার্ড গুলো এবং তার সাথে একটি অরিজিনাল ডকুমেন্ট জমা নেওয়া হয়েছিল। 

এবং তারপর আমাদেরকে ক্যাম্পের মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল ।ক্যাম্পে প্রবেশ করার পর আমাদেরকে ওখানে আবার একটি ফ্রম দিয়েছিল এবং সেখানে কিছু ইন্সট্রাকশন লিখতে বলা হয়েছিল। 

এইভাবে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর যখন আমার সংখ্যা এল ।তখন আমি গিয়েছিলাম ভেতরে শুধুমাত্র একটি ছোট হাফপ্যান্ট পড়ে। 

বন্ধুরা আমি প্রথমবার গিয়েছিলাম মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই জন্য ডাক্তারকে দেখে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম ,  কিন্তু ওখানকার ডাক্তার খুবই ভালো ছিল। এবং আমাদের যথাযথভাবে মেডিকেল পরীক্ষা গুলি নিয়েছে। 

 

তো বন্ধুরা প্রথমে ডাক্তারবাবু দেখল হাতের পায়ের আঙুলগুলি সেগুলি ভাঙ্গা আছে কি আঁকাবাঁকা রয়েছে। 

 

তারপর হাত দুটিকে একত্রে সোজাভাবে দেখল হাতের কুনি পরস্পর স্পর্শ করছে কিনা। 

তারপর আমাদের দেখল ফ্লাট ফুট রয়েছে কিনা ।

তারপর দেখল হাটুতে নকনি রয়েছে নাকি অর্থাৎ হাটু পরস্পর থেকে যাচ্ছে নাকি ?

অবশেষে আমাদের কে উলঙ্গ অবস্থায় রেখে সমস্ত কিছু চেক করল ।

এবং শেষে আমাদের যখন কালার বাইন্ড টেস্ট করল ।  বন্ধুরা কালার বাইন্ড যখন টেস্ট কল করছিল তখন আমাকে  একটি কালার বাইন্ড বই দিয়েছিল আমার সামনে রেখে এবং ডাক্তারবাবুর পেজগুলোকে উল্টিয়ে যাচ্ছিল আর আমাকে বলতে হচ্ছিল ওই পেজটি তে কি লেখা আছে ।। 

 

এরপর আমাদের ডিসটেন্স পরীক্ষা হল অর্থাৎ চোখে 6/9 বা 6/12 ।। 

এখানে আমাদেরকে প্রায়ই একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে রেখেছিল , এবং আমার সামনে থেকে প্রায় কুড়ি ফুট দূরে একটি ছোট্ট জায়গায় অনেক ওয়ার্ড লেখা ছিল। একটি আইটিবিপি পুলিশ আমার এক চোখে দেখে ধরেছিল এবং আমার কুড়ি ফুট সামনে যে একটি কাগজে লেখা ছিল সে কাগজের যে শব্দগুলো লেখা ছিল  সেগুলো কি আমাকে এক চোখে বলতে হচ্ছিল। 

 

অবশেষে আমি এই সমস্ত প্রক্রিয়া গুলি যথাযথ ভাবে পাশ করবার পরে ।। আমি এক চান সেই মেডিকেলে পাশ করে নিয়েছিলাম ।। 

 

কিন্তু বন্ধুরা আমাদের ফাইনাল মেরিট লিস্ট যখন বের হলো।। 

তখন এতই হাই কাটাপ গিয়েছিল যে মেডিকেলে যে কাটাপ পড়েছিল তার থেকে 10 প্লাস নম্বর বেড়ে গিয়েছিল।। 

তো বন্ধুরা আমার শুধু মাত্র তিন নাম্বার এর জন্য এখনও চাকরিটা পাইনি আমি ।।

2018 সালের এসএসসি জিডি মোট ছেলেদেরকে নিয়ে ছিল মাত্র 54 হাজার ।  

এই 2018 সাল আমাদের একদম জীবন শেষ করে দিয়েছে । তিন বছর আমাদের পুরো জীবন বরবাদ করে দিয়েছে এই জন্য সরকারের কাছে আমাদের একান্ত ভাবে অনুরোধ ।। 

 

সমস্ত মেডিকেল ফিট ক্যান্ডিডেটদের জয়েনিং লেটার দেওয়া হোক। 

 

কেননা বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ওভার এজ হয়ে গেছে ।।

কিন্তু এখন সরকারের কাছে প্রচুর পরিমাণে ভ্যাকান্সি থাকা থাকিবার সত্বেও সরকার আমাদেরকে জয়নিং লেটার দিচ্ছে না।। 

 

আমাদের সমস্ত ক্যান্ডিডেট তারা আজ দিল্লিতে সাত থেকে আট মাস ধরে আন্দোলন করছে শুধুমাত্র জয়নিং লেটার নেবার জন্য।। 

 

কিন্তু সরকার কোন কিছু বলছে না ।।

 

আমাদের ডিফেন্স মিনিস্টার শ্রী নিত্যানন্দ রায়  আপনাকে একান্ত ভাবে অনুরোধ করে আমরা জানাচ্ছি যে ,  সমস্ত মেডিকেল ফিট ক্যান্ডিডেটদের কে জয়নিং দেওয়া হোক।। 

 

যদি পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং এটিকে শেয়ার করবেন ।

No comments

Powered by Blogger.