Header Ads

My Sweet Village Andiron Purbapara

 

My Sweet Village Andiron Purbapara

বেলডাঙা ওয়ান ব্লকের অন্তর্গত একটি ছোট্ট গ্রাম আন্ডিরণ । এই অন্ডিরণ গ্রামের  আবার অনেক  ছোট ছোট পাড়া রয়েছে , তাদের মধ্যে একটি সুন্দর পাড়া হলো আমার এই মিষ্টি  পাড়া - আন্ডিরণ  পূর্বপাড়া  ।
এটা গুগল ম্যাপ এর ছবি
আন্ডিরণ পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় 
আপনি যখনই আমাদের এই ছোট্ট গ্রামে বিশেষ করে আন্ডিরণ গ্রামে প্রবেশ করবেন , ঠিক তখনই আপনার চোখে পড়বে একটি প্রাইমারি স্কুল যার নাম  আন্ডিরণ পূর্বপাড়া প্রাইমারি স্কুল
। এই স্কুলটির ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয় ।
এই স্কুলে আমরা সেই ছোটো বেলাই লেখা ও পড়া শুরু করে ছিলাম । তখন  স্কুলটি পাকা দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয় নি , কিন্তূ এখন দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ।  অন্যান্য গ্রামের থেকেও আমাদের এই স্কুলে অনেক ছোট ছোট বাচ্চার সংখ্যা বেশি ।  এই স্কুলটিতে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে এখানে একজন মাস্টারমশাই রয়েছেন অনেক আগে থেকেই যখন আমরা স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম এবং উনি আমাদেরকে ভালোভাবে পড়াতেন তিনি হলেন শ্রী অমিত রায় । এই মাস্টারমশাই টি এখনো এই স্কুলের মধ্যে রয়েছে ইনচার্জ হিসেবে ।
বর্তমানে আমাদের এই গ্রামের স্কুলটি মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এক নম্বর স্থান অধিকার করেছে ।
এই স্কুলটির দেওয়াল গুলিতে কত সুন্দর ভাবে ছবি অংকন করা হয়েছে এটা দেখে স্কুলের  সমস্ত ছাত্ররা এবং ছাত্রীরা আনন্দ উপভোগ করে । এই স্কুলটিতে টোটাল আটটি ঘর রয়েছে , এগুলি অনেক বেশি বড় । এখানে ছাত্র ছাত্রী দের জন্য কম্পিউটার শেখানোর এর ঘর আছে।
আপনি যখন এই গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন ভিতরে , তখন সামনেই এক টি বট বৃক্ষের নিচে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে সেটা দেখতে পাবেন । স্কুলের ছাত্র ছাত্রী দের জন্য দুপুর বেলায় মিড ডে মিল এর ব্যাবস্থা করা হয়েছে । স্কুলের ছাত্র ছাত্রী দের জন্য খেলার স্থান আছে । তাদের খেলার জন্য এখন নাগর দোলা , সুরুৎ , এছাড়া অন্যান্য অনেক কিছু আছে।
আন্ডিরণ তমাল তলা মন্দির
স্কুলের ঠিক বামদিকে একটি ঢালাই রাস্তা চলে গিয়েছে কিছুটা যাওয়ার পর এখানে একটি জলের প্লান্ট রয়েছে , এবং তার কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর একটি শিব মন্দির স্থাপিত করা হয়েছে । এটি 2018 সালে স্থাপিত হয়েছে , এ মন্দিরটি সমস্ত আন্ডিরণ গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এখানে পূজা-পার্বণ করা হয় ।
এখানকার জায়গাটির নাম দেওয়া হয়েছে তামালতলা শিব মন্দির । এই মন্দিরটির পিছনে একটি বট বৃক্ষ অবস্থান করে রয়েছে এবং এই বট বৃক্ষের নিচেই শিবলিঙ্গের স্থাপন করা হয়েছে । শিবলিঙ্গের পাশে একটি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে , এখান থেকেই অর্থাৎ এই টিউবয়েল থেকে এখানকার স্থানীয় লোকেরা জল নিয়ে তাদের বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহার করে এবং এই জল খাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে ।
এখানে প্রতিদিন সকাল বেলাতে একটি লোক অর্থাৎ একজন পুরোহিত তিনি শিবলিঙ্গের পূজা পার্বণ করেন এবং বিকেল থেকে সন্ধের সময় পর্যন্ত স্থানীয় বয়স্ক লোকেরা এখানে হরিনাম সংকীর্তন করে থাকেন ।
আন্ডিরণ রাম মন্দির
এই তামালতলা শিব মন্দির থেকে অর্থাৎ ঢালাইয়ের রাস্তা ছেড়ে মাটি রাস্তায় নেমে কিছুদূর এগিয়ে এখানে একটি রাম মন্দির স্থাপন করার সিদ্ধান্ত চলছে তো এই জায়গাটিতে একটি বট বৃক্ষ অবস্থান করে আছে , বৃক্ষটি অনেক বছরের পুরনো ঠিক তারই পাশে রাম মন্দির এর কাজ চলছে ।
ফটোর মধ্যে যে বটবৃক্ষ টি দেখা যাচ্ছে এটার ঠিক নিচেই রাম মন্দির করার কাজ কিছুটা এগিয়েছে আশেপাশে এই গ্রামের সমস্ত ছেলেরা বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে ।
এখানেই আমাদের রাম মন্দির হবে তার জন্য আপনাদের একান্ত কামনা করি আপনারা আসুন এসে দেখে যান এবং রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সাহায্য করুন ।
ধন্যবাদ ।।।
আন্ডিরণ পূর্বপাড়া ধর্মরাজ মন্দির 
আন্ডিরণ পূর্বপাড়া ই একটি পুরনো মন্দির ছিল , সেই মন্দিরটি অনেক ছোট ছিল এবং অনেক পুরনো ছিল  মন্দিরটি ভেঙে এখন নতুন মন্দির করা হয়েছে । আর এই মন্দিরে আন্ডিরণ গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্গা মূর্তি তৈরি হতো ।
মন্দিরটি লম্বাতে অনেক বেশি উঁচু এবং চওড়াতেও অনেকটাই বেশি লম্বা । মন্দিরের সামনে একটি তুলসী মন্দির অবস্থান করে রয়েছে এখানে কয়েক বছর ধরেই এই গ্রামের সবচাইতে বড় দুর্গা ঠাকুর হয়ে থাকে তার কিছু ফটো নিচে দেওয়া থাকবে সেগুলো আপনারা দেখে নেন ।




আমাদের গ্রামের পুরোনো মন্দিরের স্মৃতি  
উপরের ছবিটিতে যে মন্দিরটি দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে এই গ্রামের পুরনো মন্দির এই মন্দিরে কালী পূজার সময় চারিদিকে মোমবাতি জালানো হয়েছিল এই মন্দিরটিতে বাড়ির আশেপাশে লাইট জালানো হয়েছিল ।
আন্ডিরণ পূর্বপাড়া খেলার মাঠ 
মন্দিরের ঠিক বাঁ দিক দিয়ে একটি কাঁচা রাস্তা চলে গিয়েছে এই রাস্তার ধারে একটি নালা অবস্থান করে রয়েছে এ টার নাম হচ্ছে কোটি নালা । আরে কঠিন নালার পাশেই একটি আম গাছ রয়েছে আর এই আম গাছের পাশে রয়েছে এই গ্রামের ছেলেদের খেলার জন্য খেলার মাঠ এটা আগে নাম ছিল তেতুলতলা মাঠ , তখন ওই নালার পাশে একটি তেঁতুল গাছ ছিল সেইজন্য নাম হয়েছিল তেতুলতলা মাঠ কিন্তু এখন এটাকে কে আর তেতুলতলা  মাঠ বলে না , এখন এটাকে বলা হয় ফিল্ড ।
ফিল্টের আশেপাশে বাঁশ গাছ রয়েছে, এবং এখানে আমগাছ কাঁঠাল গাছ বিভিন্ন রকমের গাছ রয়েছে । এখানেই ছেলেরা ক্রিকেট খেলা করতে আসত আর ঠিক তখনি গাছে আম কাঁঠাল থাকতো ক্রিকেট খেলা করত আর ওই আম-কাঁঠাল এগুলো সবাই একসাথে বসে খেত এখন আর খেলা হয় না কেননা এখন সবাই মোবাইল ফোন তো সেখানেই ইন্টারনেট গেমিং খেলা করতে শিখে গিয়েছে ওখানে আমরা খেলা করেছি আমাদের থেকে যারা বড় ছিল তারাও খেলা করে ছিল ওখানে ।
আন্ডিরণ পূর্বপাড়া স্নানের ঘাট 
এই গ্রামের পাশেই রয়েছে একটি বিল এর নাম হচ্ছে ডুমনি নদী । এখানে অনেক লোকেরা মাছ চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । আর আমাদের গ্রামের লোকেরা এই ডুমনি নদীর ধারে স্নানের জন্য একটি পাকা ঘাট করে দিয়েছিল আর সেই ঘাটে এই গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ-মহিলা সবাই প্রতিদিন স্নান করে থাকে । 
আর পাড়ার যে সমস্ত যুবক ছেলেরা রয়েছে তারা রাতের বেলাতে ওই পাকাঘাট এর মধ্যে ফ্রিস্ট করে থাকে । গ্রীষ্মকালে খুবই সুন্দর লাগে এখানে বসে থাকতে তো এখানে আমরা প্রায়ই বসে থাকতাম ডুমনি নদীর যে বাতাস বয়ে চলত সেটা আমাদের মন ছুঁয়ে নি তো এখনো সেটাই হয়ে থাকে ।
পাকা ঘাটের কাছে এই তুলসী মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল , পুরুষ মহিলা সকলেই যখন স্নান করে বাড়ি ফিরতো তখন এই তুলসী গাছ টিতে তারা জল প্রদান করে থাকত এবং প্রণাম করে ভক্তি জানাত ।

এই পোস্টটি পড়ে আপনার কেমন লাগলো নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের মাধ্যমে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট অবশ্যই করুন ।।
       ।।।।।।।। VISIT AGAIN ।।।।।।।।।।

No comments

Powered by Blogger.